0
হঠাৎ করে দেড় বছর পর দুজনের দেখা হয়ে যায় মেয়েটি তো অবিশ্বাস এর চোখে তাকিয়ে আছে তবে ছেলেটি স্বাভাবিকই আছে তার মধ্যে অবিশ্বাস বা বিস্মিত হবার কোন লক্ষণ নেই যেন দেড় বছর পর তাদের দেখা হওয়ারই কথা.....
ছেলে-মেডাম তো দেখছি আগের থেকে সুন্দরী হয়েছেন।।।
মেয়ে-নিশ্চুপ....
-নিশ্চুপ হয়ে আছ কেন???তা কেমন আছ???
-(আস্তে করে বলল)ভাল,তুমি কেমন আছ।।
-সব সময় ভাল ছিলাম ভাল আছি আর ভালই থাকব।।।
-তোমার কথা বার্তা চেঞ্জ হয়নি দেখছি???
-মানুষ চেঞ্জ হলে তো কথা বার্তা চেঞ্জ হবে,,,,এবার তোমার বর এর খবর বল বেটা তো পেনাল্টি থেকে গোল দিয়া তোমাকে বিয়ে করছে।।সারা ম্যাচ আমি খেললাম অর্থাৎ প্রেম করলাম আর ওইটা লাস্ট মুহূর্তে উঠে পেনাল্টি পেয়েই গোল মানে একটা চান্স পেয়েই বিয়া।।।
ছেলেটার কথা শুনে অনেক দিন পর মেয়েটির মুখে হাসি ফুটে উঠল এবার একটু জোরেই হেসে বলল,,
-হিহিহি তুমি দেখছি আগের মতই আছ একটুও চেঞ্জ হও নি।।।
-হওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনি,,,এবার বল বেটার খবর কি বাক্সে টাক্সে ঢুকিয়া গেল নাকি।।।
-ওর সাথে আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে।।।
-বল কি???
এবার ছেলেটি একটু বিস্মিত হয়ে মেয়েটির দিকে তাকাল হ্যাঁ সত্যি আমি চেঞ্জ না হলেও মেয়েটি যথেষ্ট চেঞ্জ হয়েছে সব থেকে বেশি বদলেছে ওর মুখের হাসি আগে কথায় কথায় হাসত কোন কারণ ছাড়াই একদম বাচ্চাদের মত তবে এখন বেশ গম্ভীর হয়ে গেছে।।।।
-হ্যাঁ ওর সাথে প্রায় ৬মাস আগে ছাড়াছাড়ি হয়েছে।।।
-আচ্ছা তোমার স্টরি শোনতে হবে তবে দাঁড়িয়ে থাকতে ভাল লাগছেনা চল সামনের কফি শপে বসি।।।
.
অতঃপর ছেলেটি আর মেয়েটি কফি শপে বসল এই দেড় বছরে তাদের লাইফের স্টরি শুনাতে....
ছেলে-এবার বল কারণ কি ছিল???
মেয়ে-কারণ একটাই ওই ছেলের অন্য একটা মেয়ের সাথে রিলেশন ছিল শুধু ওর বাবার চাপে পরে আমাকে বিয়ে করেছে বিয়ের ৮মাসের মাথায় ওর বাবা মারা যায় তারপর তো ও স্বাধীন প্রথমেই আমাকে ডিভোর্স তারপর ওই মেয়েকে বিয়ে।।।
-ওরে বাহ তা তোমার বাবার উচিত শিক্ষা হয়েছে তাহলে ডাক্তার ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছেন যাতে মেয়ে খুশিতে হাবুডুবু খেতে পারে কিন্তু ওইটা দেখেন নাই যে হাবুডুবু খেতে খেতে হঠাৎ ডুবে যেতে পারে।।।তবে তোমার কষ্ট পাওয়ার কারণ নেই এবার ইঞ্জিনিয়ার ছেলে আমি খুঁজে দিব।।।
-লাগবেনা,,
বলে মেয়েটি উঠে গেল ছেলেটির কথা শুনে মেয়েটির চোখ দিয়ে বৃষ্টি ঝরতে শুরু করেছে ছেলেটির কথা গুলো সত্য তবে এই মুহূর্তে এই অপ্রিয় সত্য গুলো শুনতে ইচ্ছা করছেনা।।।মেয়েটি উঠতেই ছেলেটি হাত ধরে ফেলল এবং আবার বসিয়ে দিল...
-আরে যাবা তো ধরে তো রাখব না তোমার যে বাপ যদি শুনে তোমাকে আটকে রেখেছি সোজা বন্দুক নিয়ে এসে আমাকে গুল্লি করে বাক্সে ভরে দিবে।।।
ছেলেটি মেয়েটির চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল এবার আমার স্টরি শুনো...
-তোমার বাপ তো আমার সাথে তোমার বিয়ে দিবেনা তুমিও আমার সাথে পালিয়ে বিয়ে করবেনা সেই দুক্কে আমি শহর ছাড়া হইলাম অর্থাৎ বনবাস চলে গেলাম রহীম যখন বনবাসে যায় তখন রুপবান ছিল কিন্তু আমার সাথে তো তুমি ছিলানা সেজন্য একা একা হাটতে হাটতে বোরিং হয়ে আবার শহরে চলে এসেছি।।।
.
আবার মেয়েটি হেসে উঠল যেন মজার কিছু শুনতে পেয়েছে আসলেই এই ছেলেটি সব কিছুতেই মজা করবে ওর বিয়ের কথা শুনে ছেলেটি বলেছিল দেখ কটির মা তোমার সাথে তো আমার আর হচ্ছেনা বিয়ের হয়ত কিছুদিন পর আমাকে ভূলে যাবা তাই আমাকে মনে রাখার জন্য তোমার প্রথম সন্তানের নাম ছেলে হলে কটা রাখবা আর মেয়ে হলে কটি কোন মজার মানুষ না হলে প্রেমিকার বিয়ে শুনে এই রকম কথা কেউ বলতে পারেনা।।।মেয়েটা হাসি থামিয়ে বলল,
-এইটা তোমার দেড় বছরের স্টরি।।
-অবশ্যই একদম রিয়েল স্টরি অবিশ্বাস এর কোন কারণ নাই।।।
-বিয়ে করেছ।।
-আমার ভাগ্যে বউ নাই রে কটির মা।।।আম্মু আব্বু জোর করে নিয়ে গেল মেয়ে দেখতে মেয়ে দেখে তো আমি টাস্কি ইয়া মোটা একদম জলহস্তিনী দেখে খুশিতে লাফাচ্ছিলাম এই ভেবে যে আমাকে কেউ অন্তত কোলে নিয়ে ঘুরতে পারবে কিন্তু যখন মেয়েটি আমাকে বলিল এই যে শুনেন আমার পক্ষে আপনাকে বিয়ে করা সম্ভব না আমার বয়ফ্রেন্ড আছে...এইটা শুনে আমি অজ্ঞান আমার কোলে ঘুরার স্বপ্ন বাক্সে ঢুকে গেছে সেজন্য অজ্ঞান হয়নি এই ভেবে অজ্ঞান হয়েছি যে এই জলহস্তিনীর বয়ফ্রেন্ড নিশ্চই কোন জলহস্তী সেজন্যই আমার মত শুকনা ছেলেটারে মেয়েটা বিয়ে করছেনা।।।তারপর থেকে আর বউ খুঁজি নাই।।।
-হিহিহি প্লিজ তোমার এইসব কথা বার্তা থামাও আমি গত দেড় বছরেও এইরকম করে হাসি নাই তুমি যাওয়ার পর থেকে আমার হাসি টাও তোমার সাথে চলে গেছে।।
.
মেয়েটা হঠাৎ গম্ভীর হয়ে গেল তারপর বলল যাই আমি অনেক্ষণ বসলাম আর হ্যাঁ কিউট দেখে একটা মেয়েকে বিয়ে করে নিও বাই....এই বাক্যটা বলতে যেন মেয়েটার অনেক কষ্ট হল গলা দিয়ে যেন আওয়াজ বের হচ্ছিল না।।।মেয়েটা চলে যাচ্ছে ছেলেটাও আপন মনে বসে আছে আর হাসছে তবে মেয়েটি কেঁদে যাচ্ছে লুকায়িত কান্না যাতে কেউ না দেখে বা না বুঝে নিঃশব্দে শুধু চোখ দিয়ে বৃষ্টি ঝরছে।।হঠাৎ মেয়েটি অনুভব করল তার হাত যেন কে ধরেছে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখে ছেলেটি ধরে আছে...
ছেলে-একবার ভূল করেছে মাফ করে দিয়েছি এবার ভূল করার সুযোগ দিব না এখন সোজা কাজী অফিসে নিয়ে যাব যদি যেতে ইচ্ছা হয় তাহলে হাত না ছাড়িয়ে আমার সাথে হাটতে থাক আর যদি ভূল আবার করার ইচ্ছা থাকে তাহলে হাত ছাড়িয়ে চলে যেত পার।।।
মেয়েটি এবার ছেলেটির চোখের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠল এ যেন অগ্নি চোখ তার মুখের মধ্যে ফাজলামির কোন চিহ্ন নেই একটা সিরিয়াস ভাব চলে এসেছে।।।মেয়েটি হাত ছাড়িয়ে নিল ছেলেটি অবাক চোখে তাকিয়ে আছে তবে আবার মুহূর্তের মধ্যে ঠোঁটের কোন হাসি ফুটে উঠল কারণ মেয়েটি এখন তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে তবে সেটা আনন্দের কান্না।।।
.
অবশেষে বিয়েটা হল কাজী অফিসে গিয়ে মেয়েটা অবাক তাদের সব বন্ধুবান্ধব ওইখানে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে কারণ ছেলেটি তাদের এখানে রেখে গেছে মেয়েটি আনার জন্য ছেলেটির বিশ্বাস ছিল মেয়েটি তার সাথে চলে আসবে সে আর দ্বিতীয় বার ভূল করবেনা বাকী জীবন টা ভালবাসার মানুষটার সাথে বেঁচে থাকবে।।।

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.

Wednesday 27 April 2016

অবশেষে বিয়েটা হল .............

হঠাৎ করে দেড় বছর পর দুজনের দেখা হয়ে যায় মেয়েটি তো অবিশ্বাস এর চোখে তাকিয়ে আছে তবে ছেলেটি স্বাভাবিকই আছে তার মধ্যে অবিশ্বাস বা বিস্মিত হবার কোন লক্ষণ নেই যেন দেড় বছর পর তাদের দেখা হওয়ারই কথা.....
ছেলে-মেডাম তো দেখছি আগের থেকে সুন্দরী হয়েছেন।।।
মেয়ে-নিশ্চুপ....
-নিশ্চুপ হয়ে আছ কেন???তা কেমন আছ???
-(আস্তে করে বলল)ভাল,তুমি কেমন আছ।।
-সব সময় ভাল ছিলাম ভাল আছি আর ভালই থাকব।।।
-তোমার কথা বার্তা চেঞ্জ হয়নি দেখছি???
-মানুষ চেঞ্জ হলে তো কথা বার্তা চেঞ্জ হবে,,,,এবার তোমার বর এর খবর বল বেটা তো পেনাল্টি থেকে গোল দিয়া তোমাকে বিয়ে করছে।।সারা ম্যাচ আমি খেললাম অর্থাৎ প্রেম করলাম আর ওইটা লাস্ট মুহূর্তে উঠে পেনাল্টি পেয়েই গোল মানে একটা চান্স পেয়েই বিয়া।।।
ছেলেটার কথা শুনে অনেক দিন পর মেয়েটির মুখে হাসি ফুটে উঠল এবার একটু জোরেই হেসে বলল,,
-হিহিহি তুমি দেখছি আগের মতই আছ একটুও চেঞ্জ হও নি।।।
-হওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনি,,,এবার বল বেটার খবর কি বাক্সে টাক্সে ঢুকিয়া গেল নাকি।।।
-ওর সাথে আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে।।।
-বল কি???
এবার ছেলেটি একটু বিস্মিত হয়ে মেয়েটির দিকে তাকাল হ্যাঁ সত্যি আমি চেঞ্জ না হলেও মেয়েটি যথেষ্ট চেঞ্জ হয়েছে সব থেকে বেশি বদলেছে ওর মুখের হাসি আগে কথায় কথায় হাসত কোন কারণ ছাড়াই একদম বাচ্চাদের মত তবে এখন বেশ গম্ভীর হয়ে গেছে।।।।
-হ্যাঁ ওর সাথে প্রায় ৬মাস আগে ছাড়াছাড়ি হয়েছে।।।
-আচ্ছা তোমার স্টরি শোনতে হবে তবে দাঁড়িয়ে থাকতে ভাল লাগছেনা চল সামনের কফি শপে বসি।।।
.
অতঃপর ছেলেটি আর মেয়েটি কফি শপে বসল এই দেড় বছরে তাদের লাইফের স্টরি শুনাতে....
ছেলে-এবার বল কারণ কি ছিল???
মেয়ে-কারণ একটাই ওই ছেলের অন্য একটা মেয়ের সাথে রিলেশন ছিল শুধু ওর বাবার চাপে পরে আমাকে বিয়ে করেছে বিয়ের ৮মাসের মাথায় ওর বাবা মারা যায় তারপর তো ও স্বাধীন প্রথমেই আমাকে ডিভোর্স তারপর ওই মেয়েকে বিয়ে।।।
-ওরে বাহ তা তোমার বাবার উচিত শিক্ষা হয়েছে তাহলে ডাক্তার ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছেন যাতে মেয়ে খুশিতে হাবুডুবু খেতে পারে কিন্তু ওইটা দেখেন নাই যে হাবুডুবু খেতে খেতে হঠাৎ ডুবে যেতে পারে।।।তবে তোমার কষ্ট পাওয়ার কারণ নেই এবার ইঞ্জিনিয়ার ছেলে আমি খুঁজে দিব।।।
-লাগবেনা,,
বলে মেয়েটি উঠে গেল ছেলেটির কথা শুনে মেয়েটির চোখ দিয়ে বৃষ্টি ঝরতে শুরু করেছে ছেলেটির কথা গুলো সত্য তবে এই মুহূর্তে এই অপ্রিয় সত্য গুলো শুনতে ইচ্ছা করছেনা।।।মেয়েটি উঠতেই ছেলেটি হাত ধরে ফেলল এবং আবার বসিয়ে দিল...
-আরে যাবা তো ধরে তো রাখব না তোমার যে বাপ যদি শুনে তোমাকে আটকে রেখেছি সোজা বন্দুক নিয়ে এসে আমাকে গুল্লি করে বাক্সে ভরে দিবে।।।
ছেলেটি মেয়েটির চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল এবার আমার স্টরি শুনো...
-তোমার বাপ তো আমার সাথে তোমার বিয়ে দিবেনা তুমিও আমার সাথে পালিয়ে বিয়ে করবেনা সেই দুক্কে আমি শহর ছাড়া হইলাম অর্থাৎ বনবাস চলে গেলাম রহীম যখন বনবাসে যায় তখন রুপবান ছিল কিন্তু আমার সাথে তো তুমি ছিলানা সেজন্য একা একা হাটতে হাটতে বোরিং হয়ে আবার শহরে চলে এসেছি।।।
.
আবার মেয়েটি হেসে উঠল যেন মজার কিছু শুনতে পেয়েছে আসলেই এই ছেলেটি সব কিছুতেই মজা করবে ওর বিয়ের কথা শুনে ছেলেটি বলেছিল দেখ কটির মা তোমার সাথে তো আমার আর হচ্ছেনা বিয়ের হয়ত কিছুদিন পর আমাকে ভূলে যাবা তাই আমাকে মনে রাখার জন্য তোমার প্রথম সন্তানের নাম ছেলে হলে কটা রাখবা আর মেয়ে হলে কটি কোন মজার মানুষ না হলে প্রেমিকার বিয়ে শুনে এই রকম কথা কেউ বলতে পারেনা।।।মেয়েটা হাসি থামিয়ে বলল,
-এইটা তোমার দেড় বছরের স্টরি।।
-অবশ্যই একদম রিয়েল স্টরি অবিশ্বাস এর কোন কারণ নাই।।।
-বিয়ে করেছ।।
-আমার ভাগ্যে বউ নাই রে কটির মা।।।আম্মু আব্বু জোর করে নিয়ে গেল মেয়ে দেখতে মেয়ে দেখে তো আমি টাস্কি ইয়া মোটা একদম জলহস্তিনী দেখে খুশিতে লাফাচ্ছিলাম এই ভেবে যে আমাকে কেউ অন্তত কোলে নিয়ে ঘুরতে পারবে কিন্তু যখন মেয়েটি আমাকে বলিল এই যে শুনেন আমার পক্ষে আপনাকে বিয়ে করা সম্ভব না আমার বয়ফ্রেন্ড আছে...এইটা শুনে আমি অজ্ঞান আমার কোলে ঘুরার স্বপ্ন বাক্সে ঢুকে গেছে সেজন্য অজ্ঞান হয়নি এই ভেবে অজ্ঞান হয়েছি যে এই জলহস্তিনীর বয়ফ্রেন্ড নিশ্চই কোন জলহস্তী সেজন্যই আমার মত শুকনা ছেলেটারে মেয়েটা বিয়ে করছেনা।।।তারপর থেকে আর বউ খুঁজি নাই।।।
-হিহিহি প্লিজ তোমার এইসব কথা বার্তা থামাও আমি গত দেড় বছরেও এইরকম করে হাসি নাই তুমি যাওয়ার পর থেকে আমার হাসি টাও তোমার সাথে চলে গেছে।।
.
মেয়েটা হঠাৎ গম্ভীর হয়ে গেল তারপর বলল যাই আমি অনেক্ষণ বসলাম আর হ্যাঁ কিউট দেখে একটা মেয়েকে বিয়ে করে নিও বাই....এই বাক্যটা বলতে যেন মেয়েটার অনেক কষ্ট হল গলা দিয়ে যেন আওয়াজ বের হচ্ছিল না।।।মেয়েটা চলে যাচ্ছে ছেলেটাও আপন মনে বসে আছে আর হাসছে তবে মেয়েটি কেঁদে যাচ্ছে লুকায়িত কান্না যাতে কেউ না দেখে বা না বুঝে নিঃশব্দে শুধু চোখ দিয়ে বৃষ্টি ঝরছে।।হঠাৎ মেয়েটি অনুভব করল তার হাত যেন কে ধরেছে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখে ছেলেটি ধরে আছে...
ছেলে-একবার ভূল করেছে মাফ করে দিয়েছি এবার ভূল করার সুযোগ দিব না এখন সোজা কাজী অফিসে নিয়ে যাব যদি যেতে ইচ্ছা হয় তাহলে হাত না ছাড়িয়ে আমার সাথে হাটতে থাক আর যদি ভূল আবার করার ইচ্ছা থাকে তাহলে হাত ছাড়িয়ে চলে যেত পার।।।
মেয়েটি এবার ছেলেটির চোখের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠল এ যেন অগ্নি চোখ তার মুখের মধ্যে ফাজলামির কোন চিহ্ন নেই একটা সিরিয়াস ভাব চলে এসেছে।।।মেয়েটি হাত ছাড়িয়ে নিল ছেলেটি অবাক চোখে তাকিয়ে আছে তবে আবার মুহূর্তের মধ্যে ঠোঁটের কোন হাসি ফুটে উঠল কারণ মেয়েটি এখন তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে তবে সেটা আনন্দের কান্না।।।
.
অবশেষে বিয়েটা হল কাজী অফিসে গিয়ে মেয়েটা অবাক তাদের সব বন্ধুবান্ধব ওইখানে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে কারণ ছেলেটি তাদের এখানে রেখে গেছে মেয়েটি আনার জন্য ছেলেটির বিশ্বাস ছিল মেয়েটি তার সাথে চলে আসবে সে আর দ্বিতীয় বার ভূল করবেনা বাকী জীবন টা ভালবাসার মানুষটার সাথে বেঁচে থাকবে।।।

No comments:

Post a Comment