0
ভালবাসা... ভালবাসা...

ভালবাসা... কাউকে শুধু একটি পলক দেখার জন্য হাজারো অজুহাত বেড় করার নামই ভালবাসা...! . ভালবাসা... রাতে ঘুমাতে গেলেও চোখ বন্ধ করলে কারো মুখ সাম...

0

: আপু, ও আপু : বল : তোর জন্য আমি স্কুল যেতে পারিনা। : কেন, আমি কি করলাম? : তুই আবার কি করবি? : তাহলে? : তোর একটা চোখ নেই এই নিয়ে স্ক...

0

0
মিস করেছি মিস করেছি

0
 অসম্ভব মিস করেছি.......... অসম্ভব মিস করেছি..........

মেয়ে:- আমি তোমাকে অসম্ভব মিস করেছি, ছেলে:- হ্যা, তো ? মেয়ে:- সত্যি আমি তোমাকে অনেক কাছে পেতে চাই, ছেলে:- ঠিক আছে, বিশ্বাস করলাম, মেয়...

0
সত্যি কথা!............ সত্যি কথা!............

0
অবশেষে বিয়েটা হল ............. অবশেষে বিয়েটা হল .............

হঠাৎ করে দেড় বছর পর দুজনের দেখা হয়ে যায় মেয়েটি তো অবিশ্বাস এর চোখে তাকিয়ে আছে তবে ছেলেটি স্বাভাবিকই আছে তার মধ্যে অবিশ্বাস বা বিস্মিত হবা...

Saturday 14 May 2016

ভালবাসা...

ভালবাসা...
কাউকে শুধু একটি পলক দেখার জন্য হাজারো অজুহাত বেড় করার নামই ভালবাসা...!
.
ভালবাসা...
রাতে ঘুমাতে গেলেও চোখ বন্ধ করলে কারো মুখ সামনে ভেসে ওঠার নামই ভালবাসা...!
.
ভালবাসা...
যার একটু অভিমানে নিজেকে একরাশ দোষের দোষী মনে করার নামই ভালবাসা...!
.
ভালবাসা...
কারো চোখে পানি টলমল করা দেখেই নিজের চোখে পানি চলে আসার নামই ভালবাসা...!
.
ভালবাসা...
কেউ রাগ করলে সেই রাগ ভাঙ্গানোর উপায় বেড় করার জন্য সারা রাত জেগে থাকার নামই ভালবাসা...!
.
ভালবাসা...
কাউকে নিয়ে হাজারো স্বপ্ন দেখার পরও তার সামনে গেলে হাত পা কাপার নামই ভালবাসা...!
.
ভালবাসা...
কেউ একটু ব্যাথা পেলে তার হাজার গুণ বেশী ব্যাথা অনুভব করার নামই ভালবাসা...!
.
ভালবাসা...
কাউকে কিছু সময় না দেখলে বুকের বাম পাশে থামাতে না পারা ধুক ধুক শব্দ করার নামই ভালবাসা...!
.
ভালবাসা...
কারো সুখের জন্য হাজারো দুঃখকে আপন করে নেয়ার নামই ভালবাসা...!
.
ভালবাসা...
কেউ আসবেনা জেনেও তার জন্য পথ চেয়ে অপেক্ষা করার নামই ভালবাসা...! 
.
আসলে ভালবাসা কাকে বলে অথবা ভালবাসা কি, এই প্রশ্ন গুলির উত্তর যেমন দেয়া যায়না ঠিক তেমনি ভালবাসার উদাহরণ বা দুই তিন লাইন লিখেও ভালবাসার প্রকৃত মানে বুঝানো যায় না।
আসলে ভালবাসা এমন এক জিনিস যা কাউকে বোঝানো যায় না কিন্তু শুধুই অনুভব করা যায়...

Friday 6 May 2016

: আপু, ও আপু
: বল
: তোর জন্য আমি স্কুল যেতে পারিনা।
: কেন, আমি কি করলাম?
: তুই আবার কি করবি?
: তাহলে?
: তোর একটা চোখ নেই এই নিয়ে স্কুলের
ছেলেরা আমাকে খুব খেপায়। সমস্ত
ছেলেমেয়ে আমাকে কানীর ভাই, কানীর
ভাই বলে ডাকে। আমি আর স্কুলে যাবোনা।
: শোন ভাই, একদম মন খারাপ করবিনা। ওদের
বলবি অসুখে আমার একটা চোখ নষ্ট হয়ে
গেছে। আমিও আগে খুব ভালো দেখতে
পেতাম।
: তোর জন্য সবাই আমাকে অপমান করে আর
তুই বলছিস মন খারাপ করতেনা। আমি আর
কখনোই স্কুল যাবোনা,,,
: ভাই, তুই আমার কথা শোন। ওরা কিছুদিন
খেপিয়ে আপনা আপনিই ঠিক হয়ে যাবে তুই
একদম চিন্তা করিস না।
: না, আমি স্কুল যাবোনা।
: আচ্ছা আজ আমি তোকে স্কুল নিয়ে
যাবো,,,ওদের কে সব বুঝিয়ে,,,,,,
: খবরদার তুই কখনো আমার স্কুলের সামনেও
যাবিনা। তাহলে আমি জীবনেও তোর সাথে
কথা বলবোনা,,, এটা বলেই শুভ হনহন করে
বেরিয়ে গেলো। শুভ ফিরলো বিকেলে। এসে
দেখে ওর মা দাঁড়িয়ে আছে। শুভ গাল ফুলিয়ে
ঘরে ঢুকলো।
: শুভ,
: হুম : আজ সারাদিন ভাত খাইছিস?
: না
: মন খারাপ?
: হুম।
: ভাত খেয়ে তোর আব্বুর সাথে দেখা করে
আয়। উনি তোকে ডাকছিলো,,,
: ভাত খাবোনা
: তাহলে যা তোর আব্বুর সাথে দেখা করে
আয়। শুভ উঠে গেলো।
: বাবা ডেকেছো?
: আয় ব্যাটা আয়, তুই নাকি আজ সারাদিন
ভাত খাসনি, : হুম : কেন, মন খারাপ?
: হুম, অনেকটা।
: মন খারাপ হলেও ভাত খাওয়া জায়েজ
আছে। যা ভাত খেয়ে আয়
: না খাবোনা
: সত্যি খাবিনা?
: উহু
: আচ্ছা থাক খাওয়া লাগবেনা। আজ সন্ধ্যায়
আমরা সবাই বাইরে খাবো, ঠিক আছে?
: না আমি যাবোনা।
: কেন যাবিনা, তোর আপু যাবে বলে?
: হুম
: আচ্ছা ওকে, তোর আপুকে নিবোনা। এবার
খুশিতো?
: হুম
: যা, তোর মাকে বল রেডি হতে। তুই ও রেডি
হয়ে নে,
: সন্ধ্যা হতে তো এখনো অনেক দেরি।
: তাও ঠিক, আচ্ছা এক কাজ কর। এখানটায় বস
তোকে একটা গল্প বলি। গল্প শুনবিতো?
: হুম শুনবো
: শোন তাহলে,, অনেক বছর আগের কথা। প্রায়
২৪-২৫ বছর আগের, এক দম্পতীর কোনো সন্তান
হচ্ছিলোনা। তারা সন্তানের আশায় অনেক
কিছু করলো, শত সাধনার পর এক চাঁদনী রাতে
বিধাতা তাদের কথা শুনলেন, তাদের কোল
জুড়ে তিনি অপরুপ সুন্দর এক কন্যা সন্তান
দিলেন। মেয়েকে দেখে সবাই অবাক, এতো
সুন্দর কোনো মানুষ হয়? এই মেয়েটা মানুষ
নাকি অন্যকিছু? অই দম্পতীর ছোট্ট ঘর
ক্ষনিকেই আলোতে ভরে গেলো, চাঁদনী
রাতে জন্ম বলে অই মেয়েটির নাম রাখা
হলো, চাঁদনী। ধীরেধীরে মেয়েটি বড় হতে
লাগলো। শরীরের সাথে সাথে মেয়েটির রুপ
ও পাল্লা দিয়ে বাড়তে লাগলো। অই দম্পতীর
আর কিছুই চাওয়ার ছিলোনা। এত সুন্দর মেয়ে
যাদের থাকে তাদের আর কিচ্ছু লাগেনা।
মেয়েটির যখন ৫ বছর বয়স তখন সবাই বুঝে
ফেললো এই মেয়েটির মত শান্ত আর ভদ্র
মেয়ে খুব একটা হয়না। এই মেয়েই বংশের
মান রাখবে। মেয়েটি বড় হতে লাগলো।
মেয়েটির যখন দশ বছর বয়স তখন অই দম্পতীর
ঘর আলো করে একটা পুত্র সন্তান এলো। পুত্র
সন্তানটিও ছিলো তাদের নয়নের মনি। আর
বোনটি তার ভাইকে এতোটা পছন্দ করতো যে
তা দেখে মা বাবারই মাঝেমাঝে হিংসে
হতো। এভাবেই চলছিলো অই দম্পতীর জীবন।
ছেলেটির বয়স যখন ৫ বছর তখন একদিন হঠাত
করে খাট থেকে পড়ে গিয়ে ভীষন ব্যথা পায়
ছেলেটি। ব্যাপারটিকে খুব গুরুত্ব দেয়নি
কেউই। ধীরেধীরে সমস্যা টা গাঢ় হয়ে
দাঁড়ায়। ছেলেটি চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু
করে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিলে
ডাক্তার জানায় দুদিনের ভেতর আই
ট্রান্সপ্ল্যান্ ট করতে হবে তানাহলে
চিরদিনের মত একটা চোখ অন্ধ হয়ে যাবে।
পাগলের মত হয়ে যায় ছেলেটির বাবা,
দুদিনের ভেতর চোখ কোথা থেকে জোগাড়
করবে? কোনো উপায় না দেখে মাথা নিচু
করে বসে থাকে হাসপাতালের করিডোরে
তখন কেউ একজন কাধে হাত দিয়ে বললো,
: বাবা, আমি দুচোখ দিয়ে যা যা দেখার সব
দেখে নিয়েছি। বাকিটা জীবন এক চোখ
দিয়েই দেখতে পারবো। আমার ভাইটা এখনো
কিছুই দেখেনি,,,,,,,," এটুক বলেই ধরনীর
সবচেয়ে সুন্দর চোখের মেয়েটি হাউমাউ করে
কেঁদে দিলো,,,,,,,
:বাবা,
: হুম
: অই ছেলেটাকি আমি?
: নাহ, তুই হবি কেন?
: বাবা তুমি একদম মিথ্যে বলোনা। আমি যখন
তোমাদের জিজ্ঞেস করতাম আমার বাম
চোখটা এত সুন্দর কেন তোমরা কোনোদিনই
আমাকে বলনি,,,,, বাবা, তুমি কাদছো কেন?
: এমনিতেই, তুই যা রেডি হয়ে নে।


: আচ্ছা। শুভ উঠে গেলো। চুপিচুপি তার
বোনের রুমে গিয়ে ঢুকলো।
: আপু
: হুম
: কি করিস?
: কিছুনা
: আপু তোকে একটা গল্প বলবো শুনবি?
: কিসের গল্প?
: ধরনীর সবচেয়ে খারাপ ভাইয়ের গল্প, শুনবি?
: না, শুনবোনা
: আপু একটা অনুরোধ করি?
: কর
: রাখবি?
: হুম
: তোর পা দুটো এদিক দে আমি ধরে বসে
থাকি। আপু তুই কখনো আমাকে মাফ করিস
না,,, তোর দোহাই লাগে তুই কখনো আমাকে
মাফ করিস না,,,,, এটুক বলেই শুভ আকাশ
বাতাস কাপিয়ে কেঁদে উঠলো। চাদনী
জড়িয়ে ধরলো তার ভাইকে। এক দেহের দুটি
চোখ একই সাথে দুই স্থানে কেঁদে উঠলো।
একই সাথে ঝরাতে লাগলো অশ্রু................


I LOVE YOU SO MUCH APU....

Wednesday 27 April 2016


মিস করেছি


অসম্ভব মিস করেছি..........

মেয়ে:- আমি তোমাকে অসম্ভব মিস করেছি,
ছেলে:- হ্যা, তো ?
মেয়ে:- সত্যি আমি তোমাকে অনেক কাছে পেতে চাই,
ছেলে:- ঠিক আছে, বিশ্বাস করলাম,
মেয়ে:- আমাকে “ক্ষমা” করে দাও,
ছেলে:- কেনো ?
মেয়ে:- তুমি আমার সাথে যোগাযোগ এর জন্য যতো চেষ্টা করেছো সব পরিহার করেছি বলে,
ছেলে:- ওহ, ওটা ব্যাপার না, প্রথম প্রথম হয়তো একটু খারাপ লেগেছে, তারপর এক সময় আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ে ছিলাম, তারপর আমি চেষ্টা ছেড়ে ভুলা শুরু করেছি,
মেয়ে:- আমি ও তোমাকে ভুলতে চেয়েছি, কিন্তু তোমার কথা শুধুই আমার মনে পরতো,
আর
ছেলে:- আর কি ??
মেয়ে:- আর আমি ভেবে ছিলাম হয়তো আমি তোমাকে পাবো না, কারন দুই বছর পার হয়ে গিয়েছে এখন,
ছেলে:- ঠিক আছে,
মেয়ে:- কিভাবে ঠিক আছে ? আমি কিছুই ঠিক দেখতে পাচ্ছি না,
ছেলে:- আমি ভাবতাম তুমি ফিরে আসবে, কিন্তু তুমি দুই বছরে ও আসো নি, তারপর প্রকৃতি আমাকে বাস্তবতা শিখিয়েছে, আর আমি ও আশা ছেড়ে এগিয়ে চলে এসেছি,
মেয়ে:- মানে ? আমি কি খুব দেরি করে ফেলেছি বুঝি ?
ছেলে:- কিসের জন্য দেরি করেছো ?
মেয়ে:- তোমার কাছে ফিরে আসার জন্য ?
ছেলে:- জানো এই কথা টা আরো আগে ও আমি শুনতে চেয়ে ছিলাম তোমার কাছ থেকে, কিন্তু এটা শুধুই ইচ্ছা হিসেবে রয়ে গিয়েছে, তারপর আমি অনুভব করেছি ইহা সম্ভব নয়, তারপর আমি আশা করা ছেড়ে দিয়েছি,
মেয়ে:- আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত, এইবার আমি তোমার সব স্বপ্ন পূর্ন করবো,
ছেলে:- এটা আর কখনোই সম্ভব নয়, আমার জীবনে কেউ একজন চলে এসেছে 4মাস আগে,
মেয়ে:- তোমার জন্য এটা ভালো হয়েছে, কে সে ? আমি কি তার সাথে দেখা করতে পারি ?
ছেলে:- সে তোমার সাথে কখনোই দেখা করবে না,
মেয়ে:- কেনোওওওও্ ?
ছেলে:- (ধীরে ধীরে বলছে) সে এমন কারো সাথে দেখা করতে চায় না, যে আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে, তোমার কাছে এইবার আমি “ক্ষমা” চাই, তুমি একবার আমার হৃদয় ভেঙ্গেছো, আমি আবার সেই ঝুকি নিতে পারবো না, যাই হোক 2টি বছর নীরব থাকার পর আমার সাথে কথা বলতে আসার জন্য ধন্যবাদ তোমায়, মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো, (মেয়েটি চলে যাবার পর) ছেলেটি তার মানিব্যাগ বের করলো আর সেখান থেকে মেয়েটির ছবি বের করলো, কয়েক ফোঁটা জল তার চোঁখ থেকে বেয়ে বুকের উপর পড়লো, আর সে চিতকার দিয়ে বলতে থাকলো “সেই মেয়েটি আজো তুমি”
  

সত্যি কথা!............


অবশেষে বিয়েটা হল .............

হঠাৎ করে দেড় বছর পর দুজনের দেখা হয়ে যায় মেয়েটি তো অবিশ্বাস এর চোখে তাকিয়ে আছে তবে ছেলেটি স্বাভাবিকই আছে তার মধ্যে অবিশ্বাস বা বিস্মিত হবার কোন লক্ষণ নেই যেন দেড় বছর পর তাদের দেখা হওয়ারই কথা.....
ছেলে-মেডাম তো দেখছি আগের থেকে সুন্দরী হয়েছেন।।।
মেয়ে-নিশ্চুপ....
-নিশ্চুপ হয়ে আছ কেন???তা কেমন আছ???
-(আস্তে করে বলল)ভাল,তুমি কেমন আছ।।
-সব সময় ভাল ছিলাম ভাল আছি আর ভালই থাকব।।।
-তোমার কথা বার্তা চেঞ্জ হয়নি দেখছি???
-মানুষ চেঞ্জ হলে তো কথা বার্তা চেঞ্জ হবে,,,,এবার তোমার বর এর খবর বল বেটা তো পেনাল্টি থেকে গোল দিয়া তোমাকে বিয়ে করছে।।সারা ম্যাচ আমি খেললাম অর্থাৎ প্রেম করলাম আর ওইটা লাস্ট মুহূর্তে উঠে পেনাল্টি পেয়েই গোল মানে একটা চান্স পেয়েই বিয়া।।।
ছেলেটার কথা শুনে অনেক দিন পর মেয়েটির মুখে হাসি ফুটে উঠল এবার একটু জোরেই হেসে বলল,,
-হিহিহি তুমি দেখছি আগের মতই আছ একটুও চেঞ্জ হও নি।।।
-হওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনি,,,এবার বল বেটার খবর কি বাক্সে টাক্সে ঢুকিয়া গেল নাকি।।।
-ওর সাথে আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে।।।
-বল কি???
এবার ছেলেটি একটু বিস্মিত হয়ে মেয়েটির দিকে তাকাল হ্যাঁ সত্যি আমি চেঞ্জ না হলেও মেয়েটি যথেষ্ট চেঞ্জ হয়েছে সব থেকে বেশি বদলেছে ওর মুখের হাসি আগে কথায় কথায় হাসত কোন কারণ ছাড়াই একদম বাচ্চাদের মত তবে এখন বেশ গম্ভীর হয়ে গেছে।।।।
-হ্যাঁ ওর সাথে প্রায় ৬মাস আগে ছাড়াছাড়ি হয়েছে।।।
-আচ্ছা তোমার স্টরি শোনতে হবে তবে দাঁড়িয়ে থাকতে ভাল লাগছেনা চল সামনের কফি শপে বসি।।।
.
অতঃপর ছেলেটি আর মেয়েটি কফি শপে বসল এই দেড় বছরে তাদের লাইফের স্টরি শুনাতে....
ছেলে-এবার বল কারণ কি ছিল???
মেয়ে-কারণ একটাই ওই ছেলের অন্য একটা মেয়ের সাথে রিলেশন ছিল শুধু ওর বাবার চাপে পরে আমাকে বিয়ে করেছে বিয়ের ৮মাসের মাথায় ওর বাবা মারা যায় তারপর তো ও স্বাধীন প্রথমেই আমাকে ডিভোর্স তারপর ওই মেয়েকে বিয়ে।।।
-ওরে বাহ তা তোমার বাবার উচিত শিক্ষা হয়েছে তাহলে ডাক্তার ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছেন যাতে মেয়ে খুশিতে হাবুডুবু খেতে পারে কিন্তু ওইটা দেখেন নাই যে হাবুডুবু খেতে খেতে হঠাৎ ডুবে যেতে পারে।।।তবে তোমার কষ্ট পাওয়ার কারণ নেই এবার ইঞ্জিনিয়ার ছেলে আমি খুঁজে দিব।।।
-লাগবেনা,,
বলে মেয়েটি উঠে গেল ছেলেটির কথা শুনে মেয়েটির চোখ দিয়ে বৃষ্টি ঝরতে শুরু করেছে ছেলেটির কথা গুলো সত্য তবে এই মুহূর্তে এই অপ্রিয় সত্য গুলো শুনতে ইচ্ছা করছেনা।।।মেয়েটি উঠতেই ছেলেটি হাত ধরে ফেলল এবং আবার বসিয়ে দিল...
-আরে যাবা তো ধরে তো রাখব না তোমার যে বাপ যদি শুনে তোমাকে আটকে রেখেছি সোজা বন্দুক নিয়ে এসে আমাকে গুল্লি করে বাক্সে ভরে দিবে।।।
ছেলেটি মেয়েটির চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল এবার আমার স্টরি শুনো...
-তোমার বাপ তো আমার সাথে তোমার বিয়ে দিবেনা তুমিও আমার সাথে পালিয়ে বিয়ে করবেনা সেই দুক্কে আমি শহর ছাড়া হইলাম অর্থাৎ বনবাস চলে গেলাম রহীম যখন বনবাসে যায় তখন রুপবান ছিল কিন্তু আমার সাথে তো তুমি ছিলানা সেজন্য একা একা হাটতে হাটতে বোরিং হয়ে আবার শহরে চলে এসেছি।।।
.
আবার মেয়েটি হেসে উঠল যেন মজার কিছু শুনতে পেয়েছে আসলেই এই ছেলেটি সব কিছুতেই মজা করবে ওর বিয়ের কথা শুনে ছেলেটি বলেছিল দেখ কটির মা তোমার সাথে তো আমার আর হচ্ছেনা বিয়ের হয়ত কিছুদিন পর আমাকে ভূলে যাবা তাই আমাকে মনে রাখার জন্য তোমার প্রথম সন্তানের নাম ছেলে হলে কটা রাখবা আর মেয়ে হলে কটি কোন মজার মানুষ না হলে প্রেমিকার বিয়ে শুনে এই রকম কথা কেউ বলতে পারেনা।।।মেয়েটা হাসি থামিয়ে বলল,
-এইটা তোমার দেড় বছরের স্টরি।।
-অবশ্যই একদম রিয়েল স্টরি অবিশ্বাস এর কোন কারণ নাই।।।
-বিয়ে করেছ।।
-আমার ভাগ্যে বউ নাই রে কটির মা।।।আম্মু আব্বু জোর করে নিয়ে গেল মেয়ে দেখতে মেয়ে দেখে তো আমি টাস্কি ইয়া মোটা একদম জলহস্তিনী দেখে খুশিতে লাফাচ্ছিলাম এই ভেবে যে আমাকে কেউ অন্তত কোলে নিয়ে ঘুরতে পারবে কিন্তু যখন মেয়েটি আমাকে বলিল এই যে শুনেন আমার পক্ষে আপনাকে বিয়ে করা সম্ভব না আমার বয়ফ্রেন্ড আছে...এইটা শুনে আমি অজ্ঞান আমার কোলে ঘুরার স্বপ্ন বাক্সে ঢুকে গেছে সেজন্য অজ্ঞান হয়নি এই ভেবে অজ্ঞান হয়েছি যে এই জলহস্তিনীর বয়ফ্রেন্ড নিশ্চই কোন জলহস্তী সেজন্যই আমার মত শুকনা ছেলেটারে মেয়েটা বিয়ে করছেনা।।।তারপর থেকে আর বউ খুঁজি নাই।।।
-হিহিহি প্লিজ তোমার এইসব কথা বার্তা থামাও আমি গত দেড় বছরেও এইরকম করে হাসি নাই তুমি যাওয়ার পর থেকে আমার হাসি টাও তোমার সাথে চলে গেছে।।
.
মেয়েটা হঠাৎ গম্ভীর হয়ে গেল তারপর বলল যাই আমি অনেক্ষণ বসলাম আর হ্যাঁ কিউট দেখে একটা মেয়েকে বিয়ে করে নিও বাই....এই বাক্যটা বলতে যেন মেয়েটার অনেক কষ্ট হল গলা দিয়ে যেন আওয়াজ বের হচ্ছিল না।।।মেয়েটা চলে যাচ্ছে ছেলেটাও আপন মনে বসে আছে আর হাসছে তবে মেয়েটি কেঁদে যাচ্ছে লুকায়িত কান্না যাতে কেউ না দেখে বা না বুঝে নিঃশব্দে শুধু চোখ দিয়ে বৃষ্টি ঝরছে।।হঠাৎ মেয়েটি অনুভব করল তার হাত যেন কে ধরেছে পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখে ছেলেটি ধরে আছে...
ছেলে-একবার ভূল করেছে মাফ করে দিয়েছি এবার ভূল করার সুযোগ দিব না এখন সোজা কাজী অফিসে নিয়ে যাব যদি যেতে ইচ্ছা হয় তাহলে হাত না ছাড়িয়ে আমার সাথে হাটতে থাক আর যদি ভূল আবার করার ইচ্ছা থাকে তাহলে হাত ছাড়িয়ে চলে যেত পার।।।
মেয়েটি এবার ছেলেটির চোখের দিকে তাকিয়ে চমকে উঠল এ যেন অগ্নি চোখ তার মুখের মধ্যে ফাজলামির কোন চিহ্ন নেই একটা সিরিয়াস ভাব চলে এসেছে।।।মেয়েটি হাত ছাড়িয়ে নিল ছেলেটি অবাক চোখে তাকিয়ে আছে তবে আবার মুহূর্তের মধ্যে ঠোঁটের কোন হাসি ফুটে উঠল কারণ মেয়েটি এখন তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে তবে সেটা আনন্দের কান্না।।।
.
অবশেষে বিয়েটা হল কাজী অফিসে গিয়ে মেয়েটা অবাক তাদের সব বন্ধুবান্ধব ওইখানে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে কারণ ছেলেটি তাদের এখানে রেখে গেছে মেয়েটি আনার জন্য ছেলেটির বিশ্বাস ছিল মেয়েটি তার সাথে চলে আসবে সে আর দ্বিতীয় বার ভূল করবেনা বাকী জীবন টা ভালবাসার মানুষটার সাথে বেঁচে থাকবে।।।