0
মেয়ে: হায়! ছেলে: হুম বলো, মেয়ে: কি করো? ছেলে: কাঁদতেছি, মেয়ে: কেনো কি হয়ছে? ছেলে: কিছু হয়নি মাঝে মাঝে কাঁদতে ভালো লাগে তাই, মেয়ে: কেমন আছো জানতে চাইবনা,, কারন আমি জানি তুমি ভালো নেই, ছেলে: হুম, তুমি? তুমি কেমন আছো? মেয়ে: আমিও ভালো নেই ছেলে: ও ছেলে: তা কিভাবে মনে হল আজ আমার কথা? মেয়ে: আজ নয় সব সময়-ই মনে হয় তোমার কথা, ছেলে: ও, মেয়ে: তুমিতো আমাকে ভুলে গেছো তাইনা? ছেলে: না একদমই না, তুমি ভূল বুঝলে আমায়, দোস্ত কি দোস্তকে ভুলে থাকতে পারে? মেয়ে: মাঝে মাঝে তোমাকে দেখি, ছেলে: হুম, মাঝে মাঝে না সব সময়-ই থাকি কবিতা আর গল্প লিখার চেষ্টা করি,, কারো সাথে তেমন কথা হয়না,, মেয়ে: কবিতা কাকে নিয়ে লেখো? ছেলে: কাউকে নিয়েই না আমার কবিতার রানী কেউ নেই, মেয়ে: আমাকে মিথ্যে বলছো কেনো? ছেলে: আরে মিথ্যে বললাম কোথায়? আমি প্রেম করিনা কারো সাথে, আর জীবনে করবও না, মেয়ে: আরে আমি নীলার কথা বললাম,, অমিতো প্রেম করো কিনা তা জানতে চাইনি, ছেলে: ও মেয়ে: ব্যাপারটা কেমন মনে হইতেছে, জিগাইলাম একটা উত্তর দিলা আরেকটা,, ব্যাপারটা কেমন জানি লাগছে, এইটুকু বলেই মেয়েটা আদিলকে ব্লক করে দেয়,, আদিলের এক সময়ের ফেইসবুক ফ্রেন্ড ছিল মেয়েটি, মেয়েটির ফেইসবুক নাম "স্বপ্নের মেঘ কন্যা" অনেক দিন আগে মেয়েটি কি যেন একটা নাম বলেছিল তার,, আদিলের নামটি মনে নেই এখন,, আদিলকে ভালবাসতো নীলা, যদিও আদিল নীলাকে প্রথমে ভালবাসতে রাজি ছিলনা,, কারন আদিল ভালবাসতো অন্য একটি মেয়েকে,, কিন্তু মেয়েটির মায়া কাঁন্নায় পরে ভালবেসে ফেলে আদিল,, নীলার সাথে আদিলের ফেইসবুকে পরিচয় হয়,, তারা খুব ভালো বন্ধু ছিল,, এক সময় তারা ফোনেও কথা বলতো বন্ধু হিসেবে,, এভাবে চলতে থাকে তাদের বন্ধুত্ব,, কিছু দিন যাওয়ার পর নীলা তার ভালবাসার কথা জানায় আদিলকে,, অবশেষে তারা বন্ধুত্ব থেকে চলে যায় প্রেমের বন্ধনে, এক সময় নীলা আদিলের ফেইসবুক পাসওয়ার্ড নেয়, আদিলের আইডিতে গিয়ে নীলা মাঝে মাঝে "স্বপ্নের মেঘ কন্যার" সাথেও চেট করতো, একদিন নীলা "স্বপ্নের মেঘ কন্যাকে" এড করে নেয় তার ফ্রেন্ড লিষ্টে, আর এভাবেই পরিচয় হয়ে উঠে নীলার সাথে মেঘের, চলতে থাকে তাদের কথা ভাগাভাগি, নীলা আদিলের সাথে জগড়া লেগেই বলতো মেঘ কন্যাকে, আবার আদিলেও,, এভাবে তাদের মাঝে খুব ঘনিষ্ট হয়ে উঠে "মেঘ কন্যা" চলতে থাকে নীলা নিহালের প্রেম,, হঠাৎ কোন এক গোধূলি বেলায় নীলা আদিলকে বলে আদিল! আজ তোমায় খুব মিস করছি,, আদিল জানতে চাইলে বলে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে একটি সরকারি চাকরিজীবি ছেলের সাথে,, তখন আদিল মেয়েটিকে বলে তাতে কি হয়েছে! আমরা পালিয়ে যাবো!! তখন মেয়েটি বলে না আমি পারবোনা আমার মাকে কষ্ট দিতে,, (নীলার বাবা নেই, ছোট্ট বেলায় তার বাবা মারা যায়) কি বললে? তাহলে আগে বলেছিলে কেন পালিয়ে যাবে?? মেয়েটা কিছু না বলেই ফোন রেখে দেয়,, ছেলেটা কাঁদতে থাকে, কিছু দিন পর মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়,, ছেলেটাকে মেয়েটা বলেছিল তাকে কখনোই ছেড়ে যাবেনা., কখনোই কাঁদাবেনা আদিলকে,, কিন্তু একটি মুহুর্তে বদলে গেলো নিলার ভালবাসা,, সে স্বপ্ন সাঁজিয়ে নিলো ভিন্ন ভাবে সরকারি চাকরিজিবি ছেলে পেয়ে,, অশ্রু মেঘে ভিজিয়ে দিল আদিলের সুখের স্বপ্নপুৱ,, ছেলেটি মেয়েটিকে পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টে কৱেছে,, অনেক কেঁদেছে,, কিন্তু নিষ্ঠুর মনা স্বার্থপর মেয়েটি নিজের সুখের সন্ধানে ভুলে যায় ভালবাসা,, আসলে সেটি নিলার ভালবাসা ছিলনা,, ছিল ক্ষনিকের ভাল লাগা মাত্ৰ,, কিন্তু সে তার ভাল লাগাটাকে ভালবাসা সাঁজিয়ে কাঁদিয়ে গেলো একটি মন,. বেঙ্গে দিলো একটি ছেলের বিশ্বাস, আজো ছেলেটি ভুলতে পারেনি তার ভালবাসা,, ছেলেটি সত্যিই মেয়েটিকে অনেক ভালবেসে ফেলেছিল,, সেই আদিল এখনো রাত্ৰি গভীর হলে মেয়েটির দেওয়া চিঠি গুলো আর সেই চিঠিতে আঁকা অপূর্ণ স্বপ্ন গুলো পড়ে আর কাঁদে,, কবিতা লিখে আর আঁধাৱে বসে ডায়েরীর স্মৃতির পাতা গুলো আগুনে পোড়ে,, নিজেকেও পোড়ায় নিস্তব্ধ যাতনায়, আজ সেই "মেঘ কন্যা জানতে চেয়েছিলো কবিতা গুলো কাকে নিয়ে লেখে আদিল,, কিন্তু মেয়েটি কি ভেবে ছেলেটিকে ব্লক করে দেয় তা শুধু মেঘ কন্যাই জানে,, হয়তো নীলা তাকে বলেছে আদিলকে ব্লক কৱে দিতে,, তাই হয়তো মেঘ ব্লক করে দেয় আদিলকে, ব্লক দিয়েছে তাতে কোনো দুঃখ নেই আদিলের. কিন্তু দুঃখ হলো বলতে না পারা আদিল কবিতা গুলো রাত জেগে কার জন্য লিখে।

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.

Sunday 24 April 2016

************অসমাপ্ত ভালবাসার গল্প*************

মেয়ে: হায়! ছেলে: হুম বলো, মেয়ে: কি করো? ছেলে: কাঁদতেছি, মেয়ে: কেনো কি হয়ছে? ছেলে: কিছু হয়নি মাঝে মাঝে কাঁদতে ভালো লাগে তাই, মেয়ে: কেমন আছো জানতে চাইবনা,, কারন আমি জানি তুমি ভালো নেই, ছেলে: হুম, তুমি? তুমি কেমন আছো? মেয়ে: আমিও ভালো নেই ছেলে: ও ছেলে: তা কিভাবে মনে হল আজ আমার কথা? মেয়ে: আজ নয় সব সময়-ই মনে হয় তোমার কথা, ছেলে: ও, মেয়ে: তুমিতো আমাকে ভুলে গেছো তাইনা? ছেলে: না একদমই না, তুমি ভূল বুঝলে আমায়, দোস্ত কি দোস্তকে ভুলে থাকতে পারে? মেয়ে: মাঝে মাঝে তোমাকে দেখি, ছেলে: হুম, মাঝে মাঝে না সব সময়-ই থাকি কবিতা আর গল্প লিখার চেষ্টা করি,, কারো সাথে তেমন কথা হয়না,, মেয়ে: কবিতা কাকে নিয়ে লেখো? ছেলে: কাউকে নিয়েই না আমার কবিতার রানী কেউ নেই, মেয়ে: আমাকে মিথ্যে বলছো কেনো? ছেলে: আরে মিথ্যে বললাম কোথায়? আমি প্রেম করিনা কারো সাথে, আর জীবনে করবও না, মেয়ে: আরে আমি নীলার কথা বললাম,, অমিতো প্রেম করো কিনা তা জানতে চাইনি, ছেলে: ও মেয়ে: ব্যাপারটা কেমন মনে হইতেছে, জিগাইলাম একটা উত্তর দিলা আরেকটা,, ব্যাপারটা কেমন জানি লাগছে, এইটুকু বলেই মেয়েটা আদিলকে ব্লক করে দেয়,, আদিলের এক সময়ের ফেইসবুক ফ্রেন্ড ছিল মেয়েটি, মেয়েটির ফেইসবুক নাম "স্বপ্নের মেঘ কন্যা" অনেক দিন আগে মেয়েটি কি যেন একটা নাম বলেছিল তার,, আদিলের নামটি মনে নেই এখন,, আদিলকে ভালবাসতো নীলা, যদিও আদিল নীলাকে প্রথমে ভালবাসতে রাজি ছিলনা,, কারন আদিল ভালবাসতো অন্য একটি মেয়েকে,, কিন্তু মেয়েটির মায়া কাঁন্নায় পরে ভালবেসে ফেলে আদিল,, নীলার সাথে আদিলের ফেইসবুকে পরিচয় হয়,, তারা খুব ভালো বন্ধু ছিল,, এক সময় তারা ফোনেও কথা বলতো বন্ধু হিসেবে,, এভাবে চলতে থাকে তাদের বন্ধুত্ব,, কিছু দিন যাওয়ার পর নীলা তার ভালবাসার কথা জানায় আদিলকে,, অবশেষে তারা বন্ধুত্ব থেকে চলে যায় প্রেমের বন্ধনে, এক সময় নীলা আদিলের ফেইসবুক পাসওয়ার্ড নেয়, আদিলের আইডিতে গিয়ে নীলা মাঝে মাঝে "স্বপ্নের মেঘ কন্যার" সাথেও চেট করতো, একদিন নীলা "স্বপ্নের মেঘ কন্যাকে" এড করে নেয় তার ফ্রেন্ড লিষ্টে, আর এভাবেই পরিচয় হয়ে উঠে নীলার সাথে মেঘের, চলতে থাকে তাদের কথা ভাগাভাগি, নীলা আদিলের সাথে জগড়া লেগেই বলতো মেঘ কন্যাকে, আবার আদিলেও,, এভাবে তাদের মাঝে খুব ঘনিষ্ট হয়ে উঠে "মেঘ কন্যা" চলতে থাকে নীলা নিহালের প্রেম,, হঠাৎ কোন এক গোধূলি বেলায় নীলা আদিলকে বলে আদিল! আজ তোমায় খুব মিস করছি,, আদিল জানতে চাইলে বলে তার বিয়ে ঠিক হয়েছে একটি সরকারি চাকরিজীবি ছেলের সাথে,, তখন আদিল মেয়েটিকে বলে তাতে কি হয়েছে! আমরা পালিয়ে যাবো!! তখন মেয়েটি বলে না আমি পারবোনা আমার মাকে কষ্ট দিতে,, (নীলার বাবা নেই, ছোট্ট বেলায় তার বাবা মারা যায়) কি বললে? তাহলে আগে বলেছিলে কেন পালিয়ে যাবে?? মেয়েটা কিছু না বলেই ফোন রেখে দেয়,, ছেলেটা কাঁদতে থাকে, কিছু দিন পর মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়,, ছেলেটাকে মেয়েটা বলেছিল তাকে কখনোই ছেড়ে যাবেনা., কখনোই কাঁদাবেনা আদিলকে,, কিন্তু একটি মুহুর্তে বদলে গেলো নিলার ভালবাসা,, সে স্বপ্ন সাঁজিয়ে নিলো ভিন্ন ভাবে সরকারি চাকরিজিবি ছেলে পেয়ে,, অশ্রু মেঘে ভিজিয়ে দিল আদিলের সুখের স্বপ্নপুৱ,, ছেলেটি মেয়েটিকে পাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টে কৱেছে,, অনেক কেঁদেছে,, কিন্তু নিষ্ঠুর মনা স্বার্থপর মেয়েটি নিজের সুখের সন্ধানে ভুলে যায় ভালবাসা,, আসলে সেটি নিলার ভালবাসা ছিলনা,, ছিল ক্ষনিকের ভাল লাগা মাত্ৰ,, কিন্তু সে তার ভাল লাগাটাকে ভালবাসা সাঁজিয়ে কাঁদিয়ে গেলো একটি মন,. বেঙ্গে দিলো একটি ছেলের বিশ্বাস, আজো ছেলেটি ভুলতে পারেনি তার ভালবাসা,, ছেলেটি সত্যিই মেয়েটিকে অনেক ভালবেসে ফেলেছিল,, সেই আদিল এখনো রাত্ৰি গভীর হলে মেয়েটির দেওয়া চিঠি গুলো আর সেই চিঠিতে আঁকা অপূর্ণ স্বপ্ন গুলো পড়ে আর কাঁদে,, কবিতা লিখে আর আঁধাৱে বসে ডায়েরীর স্মৃতির পাতা গুলো আগুনে পোড়ে,, নিজেকেও পোড়ায় নিস্তব্ধ যাতনায়, আজ সেই "মেঘ কন্যা জানতে চেয়েছিলো কবিতা গুলো কাকে নিয়ে লেখে আদিল,, কিন্তু মেয়েটি কি ভেবে ছেলেটিকে ব্লক করে দেয় তা শুধু মেঘ কন্যাই জানে,, হয়তো নীলা তাকে বলেছে আদিলকে ব্লক কৱে দিতে,, তাই হয়তো মেঘ ব্লক করে দেয় আদিলকে, ব্লক দিয়েছে তাতে কোনো দুঃখ নেই আদিলের. কিন্তু দুঃখ হলো বলতে না পারা আদিল কবিতা গুলো রাত জেগে কার জন্য লিখে।

No comments:

Post a Comment